বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বললেও কিছু উপদেষ্টা যে প্রকাশ্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, তা এখন আর অজানা নয়—এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি (BNP) নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর (Lutfuzzaman Babar)। তিনি বলেন, “আমরা সেটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। সামনে হয়তো আমাদের বড় একটি সুযোগ আসতে পারে। সে সুযোগ যেন আমাদের হাতছাড়া না হয়।”
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির পরিচিতি সভায় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। সভাটি শহরের অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী আরো বলেন, , “দেশের ওপর এখনো কালো মেঘের ছায়া রয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে—এই ষড়যন্ত্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরও স্পষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলার রায় আসছে, সেটিকে ঘিরে কিছু রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির ব্যাপক তৎপরতা চলছে। আওয়ামী লীগ এবং ভারতের মতো এক পরাশক্তি মিলে নির্বাচন কিংবা রায় বানচাল করতে চাচ্ছে।” তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রে কিছু রাজনৈতিক দলও জড়িত রয়েছে।
ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাবর বলেন, “আমরা সরকারে যাব কি না, তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। তবে আশাবাদ তো রাখতেই হবে। এ সময় দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শৃঙ্খলা ভঙ্গ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না—সে আমি হই বা অন্য কেউ। সবারই রুজি প্রয়োজন, কিন্তু তা হালাল পথেই হতে হবে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে।”
বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, “ভবিষ্যতে আমাদের বড় বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। অনেকে যা বুঝতে পারছেন না, আমরা তা প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করছি। সব কথা বলা যায় না, তবে বাস্তবতা কঠিন। আমাদের সবাইকে সংযম, ধৈর্য ও সংগঠনের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে।”
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা চাই এই অস্থির সময়টা যেভাবেই হোক, পার করে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে। এর জন্য ঐক্যই প্রধান শক্তি।” তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সবাইকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। না হলে এই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকা কঠিন হবে।” পাশাপাশি পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়ে নিজ যোগ্যতায় নিজেদের গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন তিনি।
এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পুতুলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।


