ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট নামে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়েছে এনসিপি-সহ তিনটি দল। এই জোট ঘোষণার পরই বিষয়টি নিয়ে নিজের তীব্র হতাশা ও ব্যক্তিগত আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আহ্বায়ক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল-কাদের।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে কাদের লিখেছেন, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এনসিপির এমন অপাংক্তেয় অবস্থায় পৌঁছানোই তাঁকে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করছে। তাঁর ভাষায়, নতুন জোটে যোগ দিলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো সাড়া দেখা যাচ্ছে না—এ যেন এক ধরনের শুনশান নীরবতা। কাদেরের মতে, জোটটি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলাদা করে কোনো মূল্য সংযোজন করতে পারেনি বলেই এই নিস্তব্ধতা।
তবুও এনসিপির জন্য শুভকামনা জানাতে ভোলেননি তিনি। তবে সঙ্গে যুক্ত করেছেন গভীর আক্ষেপের সুর। লিখেছেন, অপার সম্ভাবনাময় তরুণদের এই দলটি এত স্বল্প সময়েই একঘরে হয়ে যাবে—এমনটা হয়তো কেউ ভাবেননি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বাইনারির বাইরে দাঁড়িয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠা কে না চায়? অথচ দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার চাইছিলেও এনসিপির কিছু নেতার অনীহাই দলটিকে পিছিয়ে দিয়েছে।
কাদেরের মন্তব্য, এক বছরের মাথায় টিকে থাকার জন্য এনসিপিকে এখন খড়কুটো আঁকড়ে ধরে প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে হচ্ছে, যা দলের প্রাথমিক সম্ভাবনার সঙ্গে একেবারেই বেমানান।
এদিন (৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সদ্য ঘোষিত এই জোটের মুখপাত্র হবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ-ইসলাম। জোটের অন্য দুই দল হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার-বাংলাদেশ-পার্টি (এবি পার্টি)।


