ঢাকা ওয়াসায় রেফারেন্সে নিয়োগ, অভিযোগ ও বিতর্ক
ঢাকা ওয়াসায় কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই ১৫০ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেধা বা কোটার পরিবর্তে সরাসরি রেফারেন্সের মাধ্যমে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিতর্ক ছড়িয়েছে, কারণ রেফারেন্সদাতাদের তালিকায় রয়েছেন সমন্বয়ক, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
রেফারেন্সে রাতারাতি ১৫০ জনের নিয়োগ
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসা (Dhaka WASA) বিভিন্ন জোনে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই ১৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তথ্য অনুযায়ী—
- ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সমন্বয়ক তৌহিদের সুপারিশে।
- সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও নাজমুলও রেফারেন্সদাতাদের তালিকায় রয়েছেন।
- কিছু জায়গায় সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নামও উঠে এসেছে সুপারিশদাতাদের মধ্যে।
আউটসোর্সিং নিয়োগে রেফারেন্সের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
ওয়াসার এই আউটসোর্সিং ভিত্তিক নিয়োগের নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) (National Citizens Party) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন—
“আউটসোর্সিং ভিত্তিক নিয়োগের জন্য কোনো বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা নেওয়া হয় না। এটি সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করে, যা সংকটময় মুহূর্তে প্রয়োজনীয় জনবল সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল ও চরিত্র হননের চেষ্টা চলছে।
“মিডিয়া ট্রায়াল চলছে”— হান্নান মাসুদ
আব্দুল হান্নান মাসুদ তার পোস্টে বলেন—
“নাহিদ ইসলাম ভাই এবং নুসরাত তাবাসসুম আপুকে আমি কমপক্ষে ৪ বছর ধরে চিনি এবং তাদের পাশে আছি। কিছু মানুষ চিলে কান নিয়ে গেছে, আর তার পেছনে দৌড়াচ্ছে, কিন্তু আদৌ কান আছে কি না, তা যাচাই করার সময় তাদের নেই।”
তিনি আরও দাবি করেন যে—
“এই মানুষগুলো (সমালোচকরা) সংকটের সময় জনগণের পাশে থাকবে না। বরং নিজেদের স্বার্থে ঠিকই কোথাও না কোথাও আশ্রয় নেবে।”
এরপর আরও একটি পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন—
“মিডিয়া ট্রায়াল এখনও চলছে, এবং সবাই সেই ফাঁদে পা দিচ্ছে।”
নিয়োগ বিতর্কের ভবিষ্যৎ পরিণতি
ওয়াসায় রেফারেন্সের মাধ্যমে নিয়োগের ঘটনা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিতর্ক চলমান। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে, এই ঘটনা চাকরির প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।