ভর্তি আর চাকরির ক্ষেত্রে মেধাকে বহাল রাখতে বুলেটের সামনে বুক পেতে রক্ত ঝরিয়েছে হাজারো ছাত্র-জনতা। সে রক্তের দাগ না শুকাতেই মেধাতো দূরে থাক, কোটাতেও নয়, সরাসরি রেফারেন্সে চাকরি দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। আর রেফারেন্সদাতাদের তালিকায় আছে সমন্বয়কদের নাম।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কিংবা কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ১৫০ জনকে রাতারাতি বিভিন্ন জোনে চাকরি দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। যার পুরোটাই হয়েছে বিভিন্ন জনের রেফারেন্সে। ৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সমন্বয়ক তৌহিদের সুপারিশে। সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও নাজমুলের নামও আছে রেফারেন্সদাতার তালিকায়। আবার কোথাও কোথাও সুপারিশ দাতাদের নামের তালিকায় সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম উঠে এসেছে।
এদিকে ওয়াসার আউটসোর্সিং নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সুপারিশ করা কিছু নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর তা নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়া পোস্টে মাসুদ জানান, আউটসোর্সিং নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা হয় না। এটি সাধারণত দৈনন্দিন ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের জন্য চাকরি হিসেবে কাজ করে। যখন সংকটময় মুহূর্তে জনবল প্রয়োজন হয়, তখন বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে এই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে মিডিয়া ট্রায়াল ও চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হান্নান মাসুদ।
তিনি আরও বলেন, “নাহিদ ইসলাম ভাই এবং নুসরাত তাবাসসুম আপুকে আমি কমপক্ষে ৪ বছর ধরে চিনি এবং তাদের পাশে আছি। কিছু মানুষ চিলে কান নিয়ে এসেছে, আর তার পেছনে দৌড়াচ্ছে, কিন্তু কান আছে কি না, সেটি দেখার সময় তারা হারিয়ে ফেলেছে।”
মাসুদ আরো জানান, “এই মানুষগুলো সামনের সংকটকালে দেশের জনগণের পাশে থাকবে না। নিজেদের স্বার্থে তারা ঠিকই কারো না কারো কাছে আশ্রয় নেবে।”
এরপর একে অপর পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “মিডিয়া ট্রায়াল এখনও চলছে, এবং সবাই সেই ফাঁদে পা দিচ্ছে।”