বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা উমামা ফাতেমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মন্তব্য ফারদিন হাসান আন্তনের

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা (Umama Fatema)-কে মানসিকভাবে অস্থিতিশীল বলে মন্তব্য করেছেন একই আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (Bangladesh Democratic Student Union)-এর সহ-মুখপাত্র ফারদিন হাসান আন্তন (Fardin Hasan Anton)।

ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ

আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে আন্তন উমামার মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, “বৈষম্য বিরোধীর নেতৃত্বে কারা আসবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমি চাই উমামা ফাতেমা যেন কোনোভাবেই নেতৃত্বের দায়িত্ব না পান। এমন মানসিকভাবে অস্থির একজন মানুষের হাতে এই প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ নয়।”

ঘটনার বিস্তারিত

ফারদিন হাসান আন্তন তার পোস্টে দাবি করেন, রোজার মাসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে উমামা ফাতেমার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। তিনি জানান, রাত ৯টায় মিটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উমামা প্রায় পৌনে ১১টায় এসে উপস্থিত হন। আলোচনার সময় উমামা কোনো মতামত দেননি এবং এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে উঠে যান।

অন্তন বলেন, “উমামা চলে যাওয়ার পর তিনি উপস্থিত সবাইকে ‘বাস্টা*ড’ বলেন এবং এক নির্বাহী সদস্যের গায়ে বাজেভাবে হাত তোলেন। এরপর নিচে নেমে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উন্মাদের মতো চিৎকার শুরু করেন।”

অতীত কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত

ফারদিন আরও বলেন, কিছুদিন আগেই ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ (Anti-Rape Platform)-এর মতো একটি ইতিবাচক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উমামা। তাই তার আচরণে তিনি বিস্মিত।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “উমামার জায়গায় যদি একজন পুরুষ থাকতেন এবং নির্যাতিত ব্যক্তি নারী হতেন, তবে হয়তো সেই রাতে আমাদের শাহবাগ থানা (Shahbagh Police Station)-তে থাকতে হতো। কিন্তু উমামার মতো প্রগতিশীল নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অনেকেই লজ্জাবোধ করেন।”

নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ

ফারদিন আরও অভিযোগ করেন, সংগঠনের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই উমামা কোনো বৈঠকে সক্রিয় ছিলেন না। কেউ কেউ তাকে বিএনপির এজেন্ট বলেও সন্দেহ করেন, কারণ তিনি নাকি ফাহাম (Fahham) এবং সালাউদ্দিন (Salauddin)-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে তিনি বলেন, এসব আলোচনা ‘টেবিল টকের’ অংশ মাত্র।

পদত্যাগ বা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

ফারদিন মনে করেন, একজন সহিংস আচরণকারী ও মানসিকভাবে অস্থির ব্যক্তির হাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, “উমামার মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার দায়িত্ব প্রত্যাহার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।” তিনি জানান, ভুক্তভোগী সদস্যকে বারবার মামলা করতে বললেও তিনি অপমানের ভয়ে মামলা করতে রাজি হননি।

সবশেষে আন্তন লেখেন, “উমামাকে আমি শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু সেদিন তার যে রূপ দেখলাম, তাতে তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি। বাংলাদেশের গণমানুষের প্ল্যাটফর্ম তার হাতে যাওয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *