পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে নজরে ১১ প্রভাবশালী পরিবার

ভারতের পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-র শাসনের অবসানের পর বাংলাদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর (Ahsan H. Mansur) এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

আল জাজিরা (Al Jazeera)-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ১১টি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এক পরিবারের বিরুদ্ধেই ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ১১টি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে এবং প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (Saifuzzaman Chowdhury)-র বিরুদ্ধেও লন্ডন ও দুবাইতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার ও তার পরিবারের ৩৬০টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে, যার বেশিরভাগই লন্ডনে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে তার ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এবং দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ দপ্তর ও লন্ডনের আইনি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের ফলে মার্কিন সহায়তা হ্রাস পেয়েছে, যা তদন্তে জটিলতা তৈরি করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)-এর প্রশাসন ইউএসএআইডি তহবিল স্থগিত করায় বাংলাদেশে বিদেশি তদন্ত দল আসতে পারেনি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *