ড. খলিলুর রহমানের নিয়োগে তীব্র আপত্তি
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ (Jatiya Biplobi Parishad) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান (Dr. Khalilur Rahman)-এর নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে পরিষদ জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (Ajit Doval)-এর সঙ্গে ড. খলিলুর রহমানের অনানুষ্ঠানিক এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরিষদের ভাষ্যমতে, এ সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরূপ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
সেনাবাহিনীর মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন
পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান (General Waker-uz-Zaman)-এর বিদেশ সফরকালে একজন প্রশ্নবিদ্ধ বেসামরিক ব্যক্তিকে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ সেনাবাহিনীর অবদানকে অবমূল্যায়ন করার শামিল। পরিষদের মতে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের ভূমিকা কমিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সরকারকে ‘অস্বাভাবিক আচরণ’-এর অভিযোগ
পরিষদের দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতে অবস্থান করে অজিত দোভালের তত্ত্বাবধানে প্রতিবিপ্লবী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দাবি করেছে, গত ৩ এপ্রিল ব্যাংককে খলিলুর রহমানের সঙ্গে দোভালের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে, যা ‘জুলাই বিপ্লব’-এর আদর্শ ও জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বৈঠকের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেছে, যা সরকারের আচরণে অস্বাভাবিকতা নির্দেশ করে।
সতর্ক থাকার আহ্বান
পরিষদ সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ব্যক্তি হিসেবে খলিলুর রহমানকে নিয়োগের মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা গোপনীয়তা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল করা হয় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।