নাসা’র আর্টেমিস অ্যাকর্ডে যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র (United States) বাংলাদেশের আর্টেমিস অ্যাকর্ডে যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১০ এপ্রিল) একটি বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আর্টেমিস অ্যাকর্ডে স্বাক্ষরকারী ৫৪তম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ইনভেস্টমেন্ট সামিট’-এ বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন (Md. Ashraf Uddin) এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন (Tracy Jacobson)।

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে জানানো হয়, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পারস্পরিক অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা জোরদারে দুই দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই চুক্তিতে যোগদান প্রমাণ করে, দেশটি শান্তিপূর্ণ মহাকাশ গবেষণা ও ব্যবহারে বৈশ্বিক অংশীদারত্বে আগ্রহী।”

আর্টেমিস অ্যাকর্ড: একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ নীতিমালা

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও সাতটি দেশ মিলে আর্টেমিস অ্যাকর্ড প্রতিষ্ঠা করে। এই অ্যাকর্ড দায়িত্বশীল ও টেকসই বেসামরিক মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি নীতিমালার কাঠামো হিসেবে কাজ করে।

বাংলাদেশ ছাড়াও এখন পর্যন্ত অ্যাকর্ডে যুক্ত হয়েছে আরও ৫২টি দেশ, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে: অ্যাঙ্গোলা, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা (Canada), চিলি, কলম্বিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আইসল্যান্ড, ভারত (India), ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, লিচেনস্টেইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, পানামা, পেরু, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য (United Kingdom) এবং উরুগুয়ে।

এই দেশগুলো টেকসই, শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল মহাকাশ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই নীতিমালাগুলোকে সমর্থন জানিয়েছে।

আর্টেমিস অ্যাকর্ডের প্রচার ও বাস্তবায়নের কাজ যৌথভাবে পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং নাসা (NASA)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *