মহান মে দিবস উপলক্ষে পয়লা মে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি (BNP) বড় শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ২ মে ঢাকায় বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party, NCP)।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান (Nazrul Islam Khan) এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, ১ মে বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশটি হবে। এতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ঢাকার পাশাপাশি আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেবেন। সরকারি ছুটি থাকায় বড় সমাবেশ হলেও জনদুর্ভোগ কম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, রাজধানী ছাড়াও দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরেও জাতীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বিএনপি সমর্থন করে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi), চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ সফল করতে এর আগে গুলশানে যৌথসভা করে প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। সেই সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর এনসিপি যৌথভাবে এ সমাবেশ করবে। শনিবার বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন। সভা সূত্রে জানা যায়, এবার আলোচনায় কেউ কাউকে দোষারোপ করেননি। নারী কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা উঠলেও, দলীয়ভাবে মন্তব্য থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া, দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘পলিটিক্যাল কাউন্সিল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ সিনিয়র নেতারা যুক্ত থাকবেন। ১৯ সদস্যের এ কাউন্সিলের পাশাপাশি একটি ৩৯ বা ৫১ সদস্যের ‘নির্বাহী কাউন্সিল’ গঠনের কথাও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য পাঁচ বা তার অধিক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন। এক সপ্তাহের মধ্যে তারা গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করবেন।
সবশেষে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগের বিচার, তাদের চাঁদাবাজি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে এবং দলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে সারাদেশে কর্মসূচি জোরদার করা হবে।