সাবেক সেনা সদস্যদের করা আবেদনসমূহ মানবিক ও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (Bangladesh Army)। বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আবেদনগুলোর পুনর্বিবেচনা চলছে এবং ইতিমধ্যে ৮০০-র বেশি আবেদন গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বুধবার (১৪ মে) সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার গৌরবময় ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে দীর্ঘদিনের পেশাদারিত্ব, নিরলস পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলার মাধ্যমে। প্রতিটি সদস্যের সততা ও আত্মত্যাগ এই প্রতিষ্ঠানের সফলতার মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। সামরিক শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মূল চালিকাশক্তি— আর তা বজায় রাখতে সেনা আইনের আওতায় রয়েছে উপযুক্ত পুরস্কার ও শাস্তির বিধান।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সাবেক সেনা সদস্য সেনা সদর দপ্তরে আবেদন করেছেন, যারা পূর্বে প্রাপ্ত শাস্তির বিষয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। সেনা সদর জানিয়েছে, এসব আবেদন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়ায় একটি উচ্চপর্যায়ের পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ৬৯৬টি আবেদন পর্যায়ক্রমে যাচাই ও মূল্যায়নের মাধ্যমে নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। সরকার ও সেনাবাহিনী সাবেক সেনা সদস্যদের মর্যাদা ও ন্যায্য দাবির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের অঙ্গীকার করেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহানুভূতির ভিত্তিতে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব— সেনাবাহিনী এই বিশ্বাসে অটল।
বাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যেকোনও ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে যেকোনও পরিস্থিতিতে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।