রিজওয়ানা হাসান (Rizwana Hasan), অন্তর্বর্তী সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা, জানিয়েছেন যে দেশের জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সরকারপ্রধান পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন—নির্বাচনের সময়সীমা এই ছয় মাসের মধ্যেই। এর বাইরে যাবার কোনো সুযোগ নেই।”
এই ঘোষণার মধ্য দিয়েই মূলত নির্বাচন নিয়ে বাড়তে থাকা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি। তবে, নির্বাচনকে ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকার একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রিজওয়ানা। তার ভাষায়, “বিচার ও সংস্কার—এই দুটি ক্ষেত্রেই আমরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন।”
তবে শুধুই নির্বাচন নয়, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়েও সরব ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাংক (World Bank) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (Asian Development Bank – ADB)-এর সঙ্গে ঢাকার চারটি নদী দূষণমুক্ত করতে একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় প্রথমে তুরাগ নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু হবে।
এছাড়াও মধুপুর (Madhupur) অঞ্চলের গারো সম্প্রদায়কে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলা ও ভূমি জটিলতা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। রিজওয়ানা বলেন, “বন বিভাগের দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে এবং গারোদের ভূমি জটিলতা নিরসনের কাজ শুরু হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, আগামী ২৪ মে মধুপুরের সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু হবে।
নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি পরিবেশ ও আদিবাসী অধিকার প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসানের এই অবস্থান স্পষ্টতই সরকারের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপকে একটি মানবিক ও পরিবেশবান্ধব রূপ দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।