ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক ক্রমেই শীতল হয়ে উঠছে। সর্বশেষ চারদিন ধরে বিএনপি চেষ্টা করেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামি (Jamaat-e-Islami) পক্ষ থেকেও সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে একাধিকবার, কিন্তু সাড়া মেলেনি ইউনূসের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, একসময় দূরত্বে থাকা বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, এরইমধ্যে দুই দফা গোপন বৈঠক হয়েছে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই নতুন বাস্তবতায় রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় একটি ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে কূটনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে এই তৎপরতা।
এনসিপি ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, সেখানে ইউনূস নিজেই কঠোর নীরবতা পালন করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তা—বিশেষত বিএনপি ও জামায়াতের দিকে। তবে এই অবস্থান কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এক সময় সংলাপ ও সর্বদলীয় বৈঠকের পক্ষে কথা বললেও, এখন ইউনূসের এই ‘নীরব কূটনীতি’ নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। জাতীয় সরকারের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার এই নির্লিপ্ততা কেবল বিরোধীদের নয়, আন্তর্জাতিক মহলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।