ঢাকা: বিএনপির রাজনীতির পর্দার অন্তরালে যেসব নাম নিরবে কিন্তু প্রভাবশালী ভূমিকায় থাকেন, তাদের অন্যতম সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাজনৈতিক ইতিহাস এবং জিয়া পরিবারের সঙ্গে তার দীর্ঘ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কোনোভাবেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
সালাহউদ্দিন আহমেদের রাজনীতির শুরু ছাত্রদল দিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছাত্র রাজনীতি থেকে বেরিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং কর্মজীবনের শুরু হয় রংপুরে।
তবে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তাঁর জীবনে আসে নতুন মোড়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে নিজের কার্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পরিপক্কতা ও ব্যবহার বেগম জিয়ার এতটাই মনে ধরেছিল যে তিনি নিজেই ভাগ্নিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেন। এই সম্পর্ক শুধু পারিবারিক নয়, রাজনৈতিক আস্থারও প্রতীক হয়ে ওঠে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে পরিচিত। তাঁর স্ত্রীও ধর্মচর্চায় অভ্যস্ত, নিয়মিত হিজাব পরেন। তাঁর পরিবারের ঐতিহ্যেও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রবলভাবে বিরাজমান। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনীতিতেও তার অবস্থান সবসময় নরমপন্থী ও ভারসাম্যপূর্ণ ছিল।
শুধু তাই নয়, সালাহউদ্দিন আহমেদ একদিনে তৈরি হননি। তিনি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও একজন প্রাক্তন গৃহশিক্ষক। রাজনীতির মাঠে যেমন তাঁর অবদান আছে, তেমনি জিয়া পরিবারের কাছে তাঁর অবস্থানও বিশেষ মর্যাদার।
আজকে যাঁরা সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রশ্ন করছেন, তাদের হয়তো জানা দরকার—তিনি শুধু একজন নেতা নন, বিএনপির এক সময়কার অভ্যন্তরীণ স্থিরতার অন্যতম কারিগরও ছিলেন।