বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, উপকূলজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি—তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে বিরাজ করছে অস্থির আবহাওয়া। পটুয়াখালীসহ আশপাশের এলাকায় চলছে থেমে থেমে বৃষ্টি, আর সমুদ্রজুড়ে বইছে উত্তাল ঢেউ। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।

গত দুই দিন ধরে পটুয়াখালীতে কখনো মাঝারি, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার (২৮ মে) ভোর থেকে বৃষ্টি আরও ঘন হয়ে ওঠে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পটুয়াখালীতে ২৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলার আকাশে ঘন মেঘের আস্তরণ ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বাতাসের গতিবেগ এখনও খুব একটা বাড়েনি, তবে অমাবস্যার প্রভাবে নদনদীর পানির উচ্চতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। ফলে টানা দুই দিন ধরে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে জোয়ারের পানিতে। বিশেষ করে কুয়াকাটার উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে দেখা যাচ্ছে সাগরের বিরক্তিকর উত্তাল রূপ—প্রতিনিয়ত তীরে আছড়ে পড়ছে ছোট-বড় ঢেউ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এতে করে উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। সতর্কতা হিসেবে পায়রাসহ দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে মাছধরা ট্রলারগুলোকে সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী (Mahbuba Sukhi) বলেন, “লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া বইতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।”

আবহাওয়ার এমন অনিশ্চয়তা ও ধীরে ধীরে ঘনীভূত হওয়া লঘুচাপ উপকূলের মানুষের মনে কিছুটা উদ্বেগের সঞ্চার করেছে। যদিও এখনো পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবুও সতর্কতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা এখনই অনুভূত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *