ঢাকা: অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন নাদিয়া ইসলাম, যিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহসী বক্তব্যের জন্য আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন। পিনাকীর ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের ডাবল এজেন্ট হিসেবে সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ প্রথম নাদিয়া ইসলামই জনসমক্ষে তোলেন।
গত ২৬ মে সোমবার পিনাকীকে নিয়ে নাদিয়া ইসলাম ষ্ট্যাটাস পোষ্ট করে ফের আলোচনায় আসেন। জানা যায়, এর আগে পিনাকী নাদিয়ার ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিলে, সেই পোস্টেই নাদিয়া ইঙ্গিত দেন, তাকে “ঘাটানোর পুরস্কার” হিসেবে পিনাকীর কিছু ব্যক্তিগত ছবি ইনবক্সে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
তবে এটিই প্রথমবার নয়, এর আগেও নাদিয়া ফেসবুকে পিনাকীর একাধিক অর্ধনগ্ন ছবি প্রকাশ করলেও এবারই প্রথম পূর্ণ নগ্ন ছবি প্রকাশ করেন পিনাকীর
গুঞ্জন রয়েছে, একসময় পিনাকী ও নাদিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে সম্পর্কের অবনতির পর নাদিয়া অভিযোগ করেন, পিনাকী তাকে ফেইক ইমেইল পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ফাঁসের চেষ্টা করেছেন। পিনাকীর এমন আচরণকেই নাদিয়া তার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান।
আরও বিস্ফোরকভাবে, নাদিয়া দাবি করেন—পিনাকী একবার তার বসনিয়ার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তখন পিনাকীর সাথে কিছু উচ্চপদস্থ ব্যক্তির ফোনালাপ শুনে ফেলেন তিনি এবং কিছু গোপন তথ্য সংগ্রহ করা , যেগুলো তাঁকে সন্দেহে ফেলেছে। নাদিয়া এরপর আরও জোর দিয়ে বলেন, এইসব ঘটনা পিনাকীর “ডাবল এজেন্ট” পরিচয়কে আরও দৃঢ় করে তোলে।
এদিকে নাদিয়ার এই ছবি ফাঁসের পর , পিনাকী ছবিগুলো ফেক কিংবা বানোয়াট দাবী করেননি, বরং অশ্লীল ভাষায় আত্মপক্ষ সমর্থন করার চেষ্টা করেছেন, বলেছেন , নাদিয়া এই ধরনের ছবি ফাঁস করে, পিনাকীকে মেয়েদের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। পিনাকীর বাক্যচয়ন এতটাই জঘন্য যা প্রকাশ করা অযোগ্য।
আর এরপর ইউটিউবার সুলতানা রহমানের টকশোতে অতিথি হিসাবে আসেন নাদিয়া ইসলাম এবং শাহেদ আলম। সেখানে নাদিয়া ইসলাম বিস্তারিত জানান কিভাবে নাদিয়ার ফাঁদে পড়েন পিনাকী। কিভাবে পিনাকীর কাছে থেকে তথ্য বের করেছেন তিনি।