ঢাকায় এক কূটনৈতিক আলোচনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপ। সুইডেন, নরওয়ে ও ডেনমার্কের কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার (৩০ মে) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন।
বৈঠকে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইক্স, ফার্স্ট সেক্রেটারি পাওলা কাস্ট্রো নেইডারস্টম, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন এবং ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি. কার্লসেন। এনসিপির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্।
এদিকে দেশের নির্বাচন পরিস্থিতি ঘিরে বিএনপি (BNP) নেতারা আবারো সরব। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে মতপ্রকাশের অধিকার সবার আছে, তবে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না।” শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা আব্বাসের বক্তব্যে ছিল কঠোর হুঁশিয়ারি। তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করবেন না। আপনারা অংশ নেবেন কি নেবেন না, সেটা আপনার ব্যাপার। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশকে জিম্মি করার চেষ্টা চলবে না।”
এরই ফাঁকে জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান এক ভিন্ন সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, “যারা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করেছে, সেই দল এবং তাদের সহযোগীদের বিচার হওয়া উচিত।” তার মতে, “সরকারের উচিত আগে বিচার নিশ্চিত করা, এরপর সংস্কার এবং তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া।” এই বক্তব্যে নির্বাচনের আগে ন্যায়বিচারের প্রশ্নকে সামনে টেনে আনা হয়।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছে তাকে দেব। কিন্তু একদল বলেছে—‘তোমারটাও আমি দেব।’ এটি গণতন্ত্রের চরম অপমান।”
রাজনৈতিক মাঠে এসব মন্তব্য নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করছে। নিবন্ধনহীন দলগুলোর নির্বাচন বিরোধী অবস্থান, বিচার ও সংস্কারের দাবিসহ নানা ইস্যু নির্বাচনকে ঘিরে জটিলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে পরিস্থিতিকে।