অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)-এর যুক্তরাজ্য সফর ঘিরে রাজনীতির অঙ্গনে এক নতুন জল্পনার জন্ম হয়েছে—তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর সঙ্গে তাঁর বৈঠক কি তাহলে হতে যাচ্ছে?
সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি, কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, এই দুই রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনার ঝড় বইছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সেক্রেটারি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারুফ কামাল খান (Maruf Kamal Khan) তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। আমার কাছে এটা সুখবর বলেই মনে হয়। দ্বন্দ্ব যারা চায় তারা মূর্খ, অবিবেচক, স্বার্থান্বেষী কিংবা ক্ষতিকারক বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়োজিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে ইউনূস-তারেক মিথস্ক্রিয়া হোক, এই সমঝোতা বাড়ুক, দেশ ও জাতির কল্যাণ হোক।’
আজ সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। তাঁর উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।
এই সফরকে সরকারি সফর বলা হলেও, মূল আকর্ষণ হিসেবে ধরা হচ্ছে কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকে। তবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও এই বৈঠকের সময় বা তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
তবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এখনো রয়ে গেছে অস্পষ্ট—এই সফরে কি তারেক রহমান ও মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সত্যিই বৈঠক হবে? বিবিসি-র এক প্রতিবেদনে বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের পক্ষ থেকেই এমন একটি সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সরকার এই বিষয়ে এখনো মুখ খুলেনি।
বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই ধরনের বৈঠককে অনেকে দেখছেন একটি সম্ভাব্য মেরুকরণের সূচনা হিসেবে, আবার কেউ কেউ এটিকে দেখছেন জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতার দরজা উন্মোচনের সুযোগ হিসেবে।