ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের (Department of International Business) অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সরকার বদলের পর গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রত্যাশা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন।
উপস্থাপক যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন—“রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে আপনি কী পরিবর্তন দেখছেন এবং আপনি আসলে কতটুকু সন্তুষ্ট?”—উত্তরে সায়মা ফেরদৌস বলেন, “গণভূত্থানের পরে যেটা হয়, তার উপর আবার এত বছরের ফ্যাসিজম। প্রত্যেকটা ইনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেসি কিন্তু ভেঙে গেছে। শেখ হাসিনা হয়তো পালিয়ে গেছেন, কিন্তু পুরো সিস্টেমটা এখনো রয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “উন্নয়ন যেভাবে একটি বয়ানে পরিণত হয়েছিল, এখন সংস্কার বা রিফর্মও ঠিক সেইরকম বয়ানে পরিণত হচ্ছে। আমরা অনেক কিছু প্রত্যাশা করি—এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের বুঝতে হবে, এই মুহূর্তে সবকিছু রিফর্ম করা সম্ভব না।”
সায়মা ফেরদৌস নয় মাসের সময়কে যথেষ্ট বলেও মত দেন। “নয় মাসকে আমি খুব অল্প সময় বলব না। এটা যথেষ্ট হতে পারে। তবে, সাধারণ মানুষের জায়গা থেকে বললে—আমাদের হতাশাগুলো যেমন আছে, ঠিক তেমনি কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। আজকে আমরা খোলাখুলি কথা বলতে পারছি—এটা কি পজিটিভ দিক না?”
ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময়েও সায়মা ফেরদৌস ছিলেন সরব। তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতাগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। তাঁর স্পষ্টভাষী চরিত্র, শক্তিশালী বিশ্লেষণ এবং আপোষহীন ভঙ্গি তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। নিজের অবস্থান নিয়ে কখনোই তিনি দ্বিধায় ভোগেন না—নিজের নাম, পরিচয় এবং চিন্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে বরাবরই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এই সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় তাঁর বক্তব্য নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে তরুণ সমাজ ও নাগরিক পরিমণ্ডলকে। পরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর একটি দেশের সামনে এই ধরনের আত্মবিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গিই হয়তো ভবিষ্যতের পথ দেখাবে।