বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে আসন্ন এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর মধ্যে লন্ডনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই আলোচনায় অংশ নিতে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (Amir Khasru Mahmud Chowdhury)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার (স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে) এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আমীর খসরু বুধবার (১১ জুন) লন্ডনে রওনা হবেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) অথবা কাল সকালে খসরু ভাই লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন।’
যদিও আমীর খসরুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, তবে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ সেলিম নিশ্চিত করে জানান, ‘স্যার বুধবার লন্ডনে যাচ্ছেন।’
এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ইউনূস-তারেক বৈঠক একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হয়ে উঠতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে সংকটের সমাধানের পথ উন্মোচিত হবে।’
আলোচনার কেন্দ্রে চট্টগ্রামের তিন সন্তান
বিএনপির অভ্যন্তরে এই বৈঠক ঘিরে একটি ভিন্ন মাত্রার আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষত চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই প্রভাবশালী সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ উভয়েই চট্টগ্রামের সন্তান, ঠিক যেমন ড. ইউনূস।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে যে বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়, তার কেন্দ্রে রয়েছেন এই চট্টগ্রামের তিন রাজনীতিক। বিএনপির একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, দলের হাইকমান্ড (তারেক রহমান) সরাসরি আমীর খসরুকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য লন্ডনে ডাক দিয়েছেন। সূত্রটি আরও বলছে, এই বৈঠকের ফলাফলই হয়তো বিএনপির পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করবে।