যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajeeb Wazed Joy) ঈদ-উল-আজহার আগেই ভারত সফরে এসে মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারত আশ্রয় নেওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো পরিবারের কারও সঙ্গে তার দেখা হলো। জয় বর্তমানে নয়াদিল্লির একটি সেফ হাউসে রয়েছেন এবং এই সফরের সময় তিনি কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না বলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
জয়ের ভারত সফর নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি। জানা গেছে, জয় হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়ে মার্কিন পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন, যা ছিল তাঁর ভারতে আসার পূর্বশর্ত। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডধারী থাকলেও গ্রিন কার্ডের সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁর আমেরিকার বাইরে ভ্রমণে বৈধতা নিশ্চিত করতে পাসপোর্ট নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।
ভারতে আসার আগে জয় ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন এবং দ্রুতই সেটি পেয়ে যান। এই প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারের তরফ থেকে মৌন সম্মতি বা সবুজ সংকেত ছিল বলেও আওয়ামী লীগের সূত্র দাবি করছে। যদিও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ঈদের এই পারিবারিক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার কন্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (Saima Wazed Putul) উপস্থিত ছিলেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০২৩ সাল থেকে দিল্লিতে অবস্থান করছেন পুতুল, তবে মা ও মেয়ের মুখোমুখি সাক্ষাতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাসপোর্ট বাতিল করায় তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব নিতে বাধ্য হন। এ কারণেই এত দ্রুত নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতে মায়ের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি।
এই সফর রাজনৈতিকভাবে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, সে প্রশ্ন এখনও বহাল। তবে পরিবারের সঙ্গে জয়ের এই হঠাৎ মিলন এবং ভারত সরকারের নীরবতা—সব মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্রের সাম্প্রতিক অবস্থান।