লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক বুমেরাং হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, বিএনপি ও ড. ইউনূসের সঙ্গে একটি সমঝোতার চেষ্টা হচ্ছে যা শেষ পর্যন্ত হবে না। কারণ দুইজনের মধ্যে সবদিক থেকে একেবারে বিপরীত মেরুর কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার মত কোন লোক নেই। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দুইজন মানুষ যখন বৈঠকে বসবেন তারা তাদের চিন্তা-চেতনা-শিক্ষাদীক্ষায় ভিন্নতার চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকবেন। ফলে এখানে কোন ভালো কিছু হবে না; বরং মন্দ কিছু হবে।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের ক্ষমতার উৎসটা কী সেটা ড. ইউনূস আন্দাজ করতে পারেননি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি রাজনৈতিক দলের জনসমর্থন এবং জনপ্রিয়তা থাকলে সেই দলের নেতার হাতে কী কী ক্ষমতা থাকে সেটা একজন অনির্বাচিত, অরাজনৈতিক ব্যক্তি কখনো ধারণা করতে পারবেন না।অন্যদিকে তারেক রহমানও এখনো হয়তো বুঝে উঠতে পারছেন না যে ড. মোহাম্মদ ড. ইউনূস লন্ডন-আমেরিকার কোন শক্তির প্রভাবে হঠাৎ বাংলাদেশের ওপর এভাবে চেপে বসলেন। তিনি বুঝতে পারছেন না— গত ১০ মাস ধরে এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও কী করে ড. মোহাম্মদ ইউনূস টিকে আছেন। তারেক রহমানের শক্তি বাংলাদেশের ভেতরে আর ড. ইউনূসের শক্তি বাংলাদেশের বাইরে। তাদের বয়সের মধ্যেও এক লম্বা ফারাক রয়েছে।তারা যখন মুখোমুখি হবেন কেউ কাকে বুঝাতে পারবেন না। ফলে দুটো শক্তিশালী লোহা বা পদার্থ যখন পরস্পরের সাথে একত্র হয় সেখানে সংঘর্ষ হয়, জোড়া লাগে না।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, রাজনীতির যে আর্ট অফ নেগোসিয়েশন এটি তারেক রহমানের জীবনে কখনো ঘটেনি। ড. ইউনূসের অবস্থাও একই। শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আরো অনেকের সঙ্গে তার বিরোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল কিন্তু তিনি নেগোসিয়েশন করেননি, করতে পারেননি।
https://231c2ad24d14b4ed2fe9f71aff1f1ba1.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-45/html/container.htmlএর জন্য ছাড় দিতে হয়, উদার হতে হয়, মাথা নোয়াতে হয়। যে গুণাবলী এই দুজনের অতীত কর্মকাণ্ডের মধ্যে আমরা দেখিনি। ফলে লন্ডনের মাটিতে এই দুই ব্যক্তি যখন মুখোমুখি হবেন সেখানে ভালো কিছু আসবে আমি আশা করি না। বরং এখন যতটুকু সম্পর্ক আছে সরকারের সঙ্গে বিএনপির রয়েছে সেটি আরো ঝুঁকিতে পড়বে বলে আমি মনে করি।