ইসরায়েলের সঙ্গে ইরান কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ (Saeed Khatibzadeh)। তার ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি, বরং ইরানের দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার মুখে ইসরায়েল তাদের আগ্রাসন বন্ধে বাধ্য হয়েছে।
খাতিবজাদেহ বলেন, “আমরা জায়নিস্ট সরকারের সঙ্গে কোনো লিখিত চুক্তিতে যাইনি। তারা আক্রমণ থামিয়েছে, আর আমরাও প্রস্তুত থাকলেও আর কোনো পাল্টা আঘাত চালাচ্ছি না।”
গত ১৩ জুন ইসরায়েল প্রথম ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে সামরিক আগ্রাসনের সূচনা করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ইরান এর কড়া জবাব দেয়। এরপর কয়েক দফায় ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
তবে উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে থাকে ২২ জুন ভোরে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। পরদিনই ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি আল উদেইদ (Al Udeid) বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, যা অবস্থিত কাতারে।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার পর ২৪ জুন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। ইসরায়েলও জানায়, তারা মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।
তবে তেহরানের অবস্থান একেবারেই ভিন্ন। ইরান জানিয়েছে, তারা কোনো আনুষ্ঠানিক সমঝোতায় যায়নি, বরং তাদের সফল প্রতিরোধের কারণে তেল আবিব বাধ্য হয়েছে আগ্রাসন বন্ধ করতে। খাতিবজাদেহের মন্তব্যে এই বার্তাই পরিষ্কার—ইরান যুদ্ধের মাঠে নয়, কূটনীতির টেবিলেও কোনো ছাড় দেয়নি।