ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ২০২৫ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী (Arafat Chowdhury)। গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে অসঙ্গতি দেখে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এবং রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আরাফাত অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন—ফলাফলে অসঙ্গতি, দায়িত্বপ্রাপ্তদের পক্ষপাতিত্ব, প্রক্সি ভোট, পূর্বেই ভরাটকৃত ব্যালট পেপার, অস্বাভাবিক ভোটার উপস্থিতি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো সুনির্দিষ্ট কিছু অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেন, ভোট প্রদানের সংখ্যা, পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা এবং প্রতিটি কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে।
ক্যাম্পাসে আরাফাতের পরিচিতি নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরে তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’ নামে ফেসবুকভিত্তিক একটি গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ছিলেন। ফলে এবারের জিএস নির্বাচনের দৌড়ে তাকে এগিয়ে আছেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৪ ভোট, আর তাতে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন। তার অভিযোগ—এই ফলাফলকে একপক্ষীয়ভাবে “ইঞ্জিনিয়ারিং” করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ক্যাম্পাসে আলোচনায় রয়েছে, সম্পাদকীয় পদে জয়ী হওয়া দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিও শিবিরের নীরব সমর্থন ছিল।
আরাফাতের এই অভিযোগের পর ডাকসু নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এখন সবার দৃষ্টি নির্বাচন কমিশনের দিকে—তারা কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়েই অপেক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।