বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) (Bangladesh Cricket Board) পরিচালনা পর্ষদের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে একের পর এক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শুধু তিনিই নন, তার সঙ্গে আরও কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
তামিম ইকবাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ‘নোংরামির সঙ্গে থাকতে চাই না বলেই’ তিনি এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বক্তব্যের মধ্যেই ফুটে উঠেছে বিসিবি নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিদ্যমান অস্বচ্ছতা ও অস্থিরতার প্রতি তীব্র অনাস্থা।
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বিসিবির নির্বাচন। এর আগেই বুধবার (১ অক্টোবর) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়সীমা। আর এই শেষ দিনেই তামিমসহ অন্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) (Anti-Corruption Commission) তদন্তে অভিযুক্ত ১৫টি ক্লাবকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে মঙ্গলবার বিকেলে। রায় ঘোষণার পরপরই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, সমঝোতায় পৌঁছানো না গেলে তামিমের নেতৃত্বাধীন অন্তত ১২ থেকে ১৩টি ক্লাব প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেবে। এবং সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়—বুধবার সকালে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
এভাবে এক ঝড়ো দিনে বিসিবি নির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হলো। সামনে নির্ধারিত তারিখে ভোট হবে কি না, কিংবা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কতটা সুষ্ঠু থাকবে, তা নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ক্রিকেট মহলে।