আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে রাজনৈতিক সমীকরণ আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিএনপির (BNP) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন (Hasan Mamun) নিজেই ওই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই আসন আবার গণ অধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)-এর সভাপতি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur)-এর জন্য আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে—বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন লিখেছেন—
“আসসালামু আলাইকুম। পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, ইনশাআল্লাহ। গলাচিপা–দশমিনা নির্বাচনী এলাকার জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছি।”
এই ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে—তাহলে কি বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদের আসন সমঝোতা বাস্তবে প্রশ্নবিদ্ধ? কারণ, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা একই আসনে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন।
দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী-৩ আসনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হাসান মামুন দলের ভেতরে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তাও রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এ আসনে তাঁকে উপেক্ষা করে অন্য কাউকে ছাড় দেওয়া বাস্তব পরিস্থিতিতে কতটা সম্ভব—তা নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই আসন থেকে ‘ট্রাক’ প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, দুই পক্ষের প্রার্থীই মাঠে থাকছেন। এতে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, সমঝোতা চূড়ান্ত না হওয়া অবস্থায় একাধিক দাবিদার সামনে চলে আসছেন, যা নির্বাচনী কৌশলের দিক থেকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি সমঝোতা বাস্তবে কার্যকর করতে হয়, তাহলে দ্রুত দলের অভ্যন্তরে সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করতে হবে এবং মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে। অন্যথায় বিভ্রান্তি ও দ্বন্দ্বে জর্জরিত হতে পারে উভয় পক্ষই।


