জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া (Jean-Pierre Lacroix), জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পেশাদার ও প্রশংসনীয় ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (বাহারুল আলম বিপিএম) এর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “বিশ্বের নানা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যদের অবদান সত্যিই অনন্য। তাদের পেশাদারিত্ব, আত্মনিবেদন ও সাহসিকতা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।” তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহ রয়েছে তাদের।
বাহারুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে বিশ্ববাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ভবিষ্যতেও তারা এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বড় পরিসরে অবদান রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।”
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত রাখার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার ব্রুক শন, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম এবং অতিরিক্ত ডিআইজি (ইউএন অপারেশনস) মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন।