সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ (Md. Abdul Hamid)-এর দেশত্যাগের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ সদর দফতর (Police Headquarters)। ঘটনার জের ধরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (Kishoreganj SP)–কে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন)-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর (Inamul Haque Sagar) সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমনের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, একই ঘটনায় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া, কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর এক কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন মো. আবদুল হামিদ। গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজ (Thai Airways)-এর টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
জানা গেছে, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশত্যাগের ‘সবুজ সংকেত’ পান। যদিও তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল, তবে কীভাবে তিনি বিদেশ গমন করলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এখন শুরু হয়েছে তদন্ত।
ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির এভাবে বিদেশে চলে যাওয়া এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষাপটে পুলিশ প্রশাসনের ভেতরেই শুরু হয়েছে জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া।