সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মুখ খুললেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুজতবা খন্দকার (Mujtoba Khondokar)। একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড.ইউনূস -কে ‘আত্মকেন্দ্রীক ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের কৌশলী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “তিনি পদত্যাগ করতে চাইছেন—এমন ঘোষণা যারা দিচ্ছেন তারা অর্বাচীন।”
মুজতবার ভাষ্যমতে, ইউনূস জানেন পদত্যাগ করলে তার ‘বিপদ আরও বাড়বে’। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “তার আমলনামা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। অধিকাংশ সিদ্ধান্তই স্বার্থসংঘাতপূর্ণ (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) ছিল।” ইউনূসের ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়াকেও তিনি ‘ম্যাটিকুলাস ও উদ্দেশ্যমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, “ তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া না করেই শীর্ষ ক্ষমতায় বসেছেন—এখন কি আর এভাবে সরা যায়?”
তিনি আরও বলেন, “ইউনূসের সরকার সম্পূর্ণ আন ল ফুল (আইনগত ভাবে অবৈধ)। এদের বৈধতা দেবে কে? পরবর্তী সরকার।” সেই সূত্রেই তার মতে, পরবর্তী সরকার যদি বিএনপি হয়, তবে বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্র চালানো প্রায় অসম্ভব ড.ইউনূসের জন্য ।
এই প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের দৃষ্টিভঙ্গিকেও টেনে আনেন মুজতবা। তার মতে, “ওয়াকারও বিষয়টা জানেন ভালো করে।”
পোস্টের একেবারে শেষে মুজতবা লেখেন, “ইউনূস এনজিওর মত করে দেশ চালাতে গিয়ে অবশেষে বুঝেছেন, গ্রাম আর শহরের পার্থক্যটা কোথায়!”—এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি আকারে ইঙ্গিতে ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউনূস মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বুঝে উঠতে পারছেন না, কিংবা ভুল করে ফেলেছেন বাস্তবতাকে এনজিও মডেলের চশমায় দেখে।