সাংবাদিক না আসায় দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন

সাংবাদিকদের উপস্থিতি না থাকায় দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki)-র সংবাদ সম্মেলন। শনিবার (২৪ মে) দুপুর ২টায় বাংলা একাডেমি (Bangla Academy)-র শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে ‘বাংলা একাডেমি সংস্কার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়েও উপস্থিত হন মাত্র ৫ জন সাংবাদিক।

সংবাদ সম্মেলনের জন্য আয়োজন ছিল পূর্ণ প্রস্তুতিতে, উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও। কিন্তু সাংবাদিকদের স্বল্প উপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় শুরু থেকেই। বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে খবর পৌঁছায়—সাংবাদিক সংখ্যা খুবই কম। অপেক্ষা করা হয় আরও দেড় ঘণ্টা। অবশেষে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম (Mohammad Azam) ঘোষণা দেন—সংবাদ সম্মেলন স্থগিত।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. খালিদ হোসেন (Khaleed Hossain)। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বললেও তার উপস্থিতি পরিস্থিতির গুরুত্ব নির্দেশ করেছিল।

এর আগে ২২ মে একই সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে সেদিনও ‘অনিবার্য’ কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ। পরবর্তীতে পুনরায় ২৪ মে দিন ধার্য করা হয়, কিন্তু একই কারণে আবারও ব্যর্থ হল আয়োজনটি।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, “সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ এত কম যে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করতে বাধ্য হলাম। নতুন তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।” এই ঘটনায় বাংলা একাডেমির যোগাযোগ ঘাটতির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দৈনিক সমকালের প্রতিবেদক দ্রোহী তারা বলেন, “আমাকে মন্ত্রণালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি। অন্য সূত্র থেকে জেনে এখানে এসেছি। পরে এসে দেখি—সংস্কৃতি বিটের অনেক সাংবাদিকই এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।”

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের কথা সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের অনেকেই না জানার পেছনে দায় কার? প্রচারণার ঘাটতি, সাংবাদিকদের প্রতি অবহেলা, নাকি প্রতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাব—এই ব্যর্থতার দায় কার কাঁধে বর্তাবে, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *